Friday, April 24, 2020

Political Science Honours-- 6th Sem-C-13 (Western Political Thought-II)

Short Questions from Hobbes and Locke


Short Questions

Hobbes on State of Nature
            সামাজিক চুক্তি মতবাদের প্রণেতা টমাস হব্‌স রাষ্ট্রের উৎপত্তির ধারণাটির আলোচনা করতে গিয়ে সর্বপ্রথম একটি অনুমান নির্ভর ধারণা রূপে প্রকৃতির রাজ্যের ধারণাটি নির্মাণ করেছেন। হব্‌সের মতে, এই প্রকৃতির রাজ্য ছিল কটি প্রাক্‌-সামাজিক এবং প্রাক্-রাজনৈতিক অবস্থা এবং এখানে ব্যক্তিসকল যে প্রাকৃতিক অধিকারসমূহ ভোগ করত সেগুলি ছিল স্বেচ্ছাচারীতার নামান্তর মাত্র। হব্‌সের মতে এই প্রকৃতির রাজত্বেই রাষ্ট্রীয় আইন এবং ন্যায়ের ধারণা দুটি ছিল সম্পূর্ণ অনুপস্থিত। এখানে মানুষের জীবন ছিল চূড়ান্তভাবে নিরাপত্তাহীন। তাঁর মতে, এই প্রকৃতির রাজত্বেই ব্যক্তিসমূহ সঙ্কীর্ণ আত্মস্বার্থ দ্বারা পরিচালিত হওয়ার কারণে এখানকার প্রতিষ্ঠিত ভিত্তিটি ছিল “War of all against all”। তিনি আরও বলেন এই প্রকৃতির রাজ্যে ব্যক্তি যা কিছু করত তার মূল উদ্দেশ্য ছিল ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব অর্জন এবং এই করণে হব্‌সের মতে প্রকৃতির রাজত্বে ব্যক্তির জীবন হয়ে উঠেছিল “solitary, poor,nasty, brutish and short”। হব্‌সের মতে, প্রকৃতির রাজত্বে এরূপ বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি প্রতিষ্ঠিত থাকার ফলে এটি কখনোই শিল্প, সংস্কৃতি, বাণিজ্য ইত্যাদির বিকাশের সহায়ক ছিল না এবং সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনযাত্রার উদ্দেশ্যেই ধীরে ধীরে মানুষ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্র গঠনে অগ্রসর হয়েছে বলে হব্‌স মনে করেন। তাঁর মতে, প্রকৃতির রাজ্যের ধারণাটি এক স্বতঃসিদ্ধ ধারণা এবং এই কারণে ইতিহাসের কষ্টিপাথরে একে বিচার করার প্রয়োজন নেই।
x-------------x

Aristotle on Forms of Constitution
     অ্যারিস্টটল তাঁর ‘Politics’ গ্রন্থের তৃতীয় খণ্ডে প্রকৃত সরকারের রূপ এবং সংবিধান সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। তৎকালীন গ্রীস দেশের ১৫৮টি নগর রাষ্ট্রের শাসনব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করে অ্যারিস্টটল সংবিধানের শ্রেণী বিভাজন সম্পর্কে নিজস্ব ধারণাটি গড়ে তুলেছেন। শাসকের সংখ্যা এবং শাসকের উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই অ্যারিস্টটল নিম্নলিখিত ৬টি ভাগে সংবিধানকে বিভক্ত করেছেন।
     অ্যারিস্টটলের মতে একজন শাসক যখন সকলের স্বার্থে শাসন পরিচালনা করেন তখন সেটি হল রাজতন্ত্র, কিন্তু যখন এই ব্যক্তির শাসন সকলের পরিবর্তে শুধুমাত্র শাসকের স্বার্থে পরিচালিত হয় তখন সেটি হল স্বৈরতন্ত্র।
     যখন কিছু সংখ্যক ব্যক্তির শাসন সকলের স্বার্থে পরিচালিত হয় তখন তা হল অভিজাততন্ত্র। কিন্তু যখন এই কতিপয় ব্যক্তির শাসন শুধুমাত্র শাসকদের স্বার্থে পরিচালিত হয় তখন তা হয় গোষ্ঠীতন্ত্র।
     যখন বহু সংখ্যক ব্যক্তির শাসন সাধারণ স্বার্থপূরণে পরিচালিত হয় তখন তা হল পলিটি। কিন্তু যখন এই বহু ব্যক্তির শাসন সংখ্যাগরিষ্ঠের স্বার্থে পরিচালিত হয় তখন তা হল গণতন্ত্র।
     অ্যারিস্টটলের মতে উপরের ৬ ধরণের সংবিধানের মধ্যে রাজতন্ত্র, অভিজাততন্ত্র এবং পলিটি হল বিশুদ্ধ শাসন ব্যবস্থা এবং স্বৈরতন্ত্র, গোষ্ঠীতন্ত্র এবং গনতন্ত্র হল অশুদ্ধ শাসনব্যবস্থা। অ্যারিস্টটল বলেন আদর্শগত দিক থেকে পলিটি হল শ্রেষ্ঠ শাসনব্যবস্থা কারণ এখানে সকলের দ্বারা সকলের স্বার্থে শাসন পরিচালিত হয়। কিন্তু বাস্তবে এটি অর্জন করা সম্ভব নয় বলে অ্যারিস্টটল অশুদ্ধ প্রকৃতির হওয়া সত্ত্বেও গণতন্ত্রকে বাস্তবে শ্রেষ্ঠ সংবিধান বলে অভিহিত করেছেন।
x----------x

Locke on State of Nature
                রাষ্ট্র বা পৌর সমাজের উত্থান ব্যাখ্যায় হব্‌সের ন্যায় লক কাল্পনিক প্রকৃতির রাজ্যের ধারণা গড়ে তুললেও এক্ষেত্রে তিনি হব্‌সের থেকে ভিন্ন অবস্থান গ্রহণ করেছেন। লক্‌ কখনোই হব্‌সের ন্যায় দাবী করেন নি যে প্রকৃতির রাজ্যে মানুষের জীবন ছিল সংঘাতপূর্ণ বা সেখানে চূড়ান্ত নৈরাজ্য বিরাজ করত, তারা প্রাকৃতিক আইনের দ্বারা পরিচালিত হত এবং জীবন, স্বাধীনতা ও সম্পত্তির ন্যায় প্রাকৃতিক অধিকারসমূহ ভোগ করত। কিন্তু পরবর্তী সময়ে ব্যক্তিগত সম্পত্তির ধারণা গড়ে উঠলে প্রকৃতির রাজ্যের এই শান্তি শৃঙ্খলা ভেঙ্গে পড়ে বলে লক্‌ দাবী করেন। তাঁর মতে এই ব্যক্তিগত সম্পত্তির ধারণা প্রকৃতির রাজত্বে মানুষকে স্বার্থপর করে তোলে এবং সম্পত্তির দখল ও ভোগকে কেন্দ্র করে মানুষে-মানুষে সংঘাত দেখা দেয়। লকের মতে এর ফলে প্রকৃতির রাজত্বে মানুষের জীবন হয়ে ওঠে দুর্বিষহ এবং নিরাপত্তাহীন। এই নিরাপত্তাহীনতা দ্বারা আক্রান্ত মানুষ শেষ পর্যন্ত দুটি চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে রাষ্ট্র বা পৌর সমাজ গড়ে তোলে এবং একটি সার্বভৌম কর্তৃত্বের আনুগত্য মেনে নেয় বলে লক্ দাবী করেন।
x------------x