অখন্ড যোগ বা পূর্ণ যোগের প্রকৃতি (Nature of Integral Yoga):
শ্রী অরবিন্দ তাঁর যোগের প্রকৃতি প্রসঙ্গে বলেছেন, 'যোগ এর অর্থ ঐশ্বরিক সত্তার সঙ্গে যুক্ত হওয়া', এই সংযুক্ত হওয়া হতে পারে অতিজাগতিক, অথবা জাগতিক অথবা একক ব্যক্তিগত অথবা তিনটি একসঙ্গে।আর এই কারনেই তার 'যোগ'কে বলা হয় অখন্ড। এই যোগ আরোহণের পদ্ধতিকে ত্বরান্বিত করে,এই যোগের কয়েকটি মৌলিক চরিত্র হলো এরকম :
১.ভারতীয় যোগের বিভিন্ন আকৃতিগুলি কিছু বিশেষ ক্ষমতার কর্যণ করে চলে,অর্থাৎ যোগচর্চা মানে কিছু অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী হওয়ার প্রচেষ্টা।আর তাই সকলের কাছে যোগচর্চা সহজ ব্যাপার নয়।কিন্তু শ্রী অরবিন্দ অন্তর যোগের যে রূপরেখা এঁকেছেন তা সকলেই কাছে অনুসরণ করতে পারে।আর এ কারণেই তিনি পতঞ্জলি যোগের প্রাণায়াম এবং আসন এর জটিল শ্বাসপ্রশ্বাস ও দেহের অন্যান্য ক্রিয়াদির ব্যায়াম সংক্রান্ত বিষয় নিয়ন্ত্রিত হয়, সে বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেননি।এমনকি প্রার্থনা মন্ত্রের আবৃতি করা কেউ সুপারিশ করেননি।তাঁর পূর্ণ যোগ হল অন্তরের যোগ,যেখানে প্রয়োজন কিছু নিয়মশৃঙ্খলা ও পবিত্রতা এবং আধ্যাত্মিকতা বোধ, যাকে সকলেই অভ্যাস করতে পারে।
২. অধিকাংশ যৌগিক পদ্ধতি প্রয়োগ করে জগত সম্পর্কে নঞর্থক দৃষ্টিভঙ্গি।পতঞ্জলির যোগের লক্ষ্য বিবেক জ্ঞান অর্জন করা।যার মাধ্যমে কেবল আত্মা থেকে অনাত্মা পৃথক করা যায়।কিন্তু শ্রী অরবিন্দ বিশ্বাস করেন,যোগের লক্ষ্য জ্ঞানের মধ্যে পৃথকীকরণ নয়, বরং অনাত্মাকে আধ্যাতিকতায় উন্নীত করা।
৩. অধিকাংশ যৌগিক দার্শনিক বিশ্বাস করেন , যোগে যা প্রয়োজন হয় তাহল স্থূল দেহের ওপরে ওঠা।কিন্তু শ্রীঅরবিন্দ এ কথা কখনো বলেননি যে দেহকে সম্পূর্ণ বাতিল করতে হবে বা দমন করতে হবে।বরং তিনি বিশ্বাস করতেন যোগের লক্ষ্য হলো দেহকে অতিমানসিক আলোক দ্বারা উদ্দীপ্ত করা।
৪. অন্যান্য যোগীরা বলেন ঐশ্বরিক সত্তার সঙ্গে মানুষ যোগের মাধ্যমে যুক্ত হয় সমাধির অবস্থায়,তখন জাগ্রত চেতনা সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয়ে যায় এবং চারপাশের সাধারণ জগতের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায় বিপরীত দিকে শ্রীঅরবিন্দ বলেছেন, ঐশ্বরিক সত্তার সঙ্গে আধ্যাত্মিক সংযুক্তিকরণ হওয়া সম্ভব এই দেহে এবং আমাদের জাগ্রত চেতনার মাধ্যমেই।
৫. অন্যান্য যৌগিক দার্শনিকরা বলছেন, যোগের লক্ষ্য হলো একক ব্যক্তির মুক্তি। কিন্তু শ্রী অরবিন্দ বলেছেন এটাই যোগের একমাত্র লক্ষ্য নয়। বস্তুতঃ যোগের চরম লক্ষ্যের একটি দিক মাত্র একক ব্যক্তির মোক্ষ, যোগের চরম লক্ষ্য হলো সমগ্র মানবজাতির পুনরুদ্ধার করা এবং এই পৃথিবীতে দিব্য জীবনের উন্মেষ ঘটানো।
শ্রী অরবিন্দ তাঁর যোগের প্রকৃতি প্রসঙ্গে বলেছেন, 'যোগ এর অর্থ ঐশ্বরিক সত্তার সঙ্গে যুক্ত হওয়া', এই সংযুক্ত হওয়া হতে পারে অতিজাগতিক, অথবা জাগতিক অথবা একক ব্যক্তিগত অথবা তিনটি একসঙ্গে।আর এই কারনেই তার 'যোগ'কে বলা হয় অখন্ড। এই যোগ আরোহণের পদ্ধতিকে ত্বরান্বিত করে,এই যোগের কয়েকটি মৌলিক চরিত্র হলো এরকম :
১.ভারতীয় যোগের বিভিন্ন আকৃতিগুলি কিছু বিশেষ ক্ষমতার কর্যণ করে চলে,অর্থাৎ যোগচর্চা মানে কিছু অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী হওয়ার প্রচেষ্টা।আর তাই সকলের কাছে যোগচর্চা সহজ ব্যাপার নয়।কিন্তু শ্রী অরবিন্দ অন্তর যোগের যে রূপরেখা এঁকেছেন তা সকলেই কাছে অনুসরণ করতে পারে।আর এ কারণেই তিনি পতঞ্জলি যোগের প্রাণায়াম এবং আসন এর জটিল শ্বাসপ্রশ্বাস ও দেহের অন্যান্য ক্রিয়াদির ব্যায়াম সংক্রান্ত বিষয় নিয়ন্ত্রিত হয়, সে বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেননি।এমনকি প্রার্থনা মন্ত্রের আবৃতি করা কেউ সুপারিশ করেননি।তাঁর পূর্ণ যোগ হল অন্তরের যোগ,যেখানে প্রয়োজন কিছু নিয়মশৃঙ্খলা ও পবিত্রতা এবং আধ্যাত্মিকতা বোধ, যাকে সকলেই অভ্যাস করতে পারে।
২. অধিকাংশ যৌগিক পদ্ধতি প্রয়োগ করে জগত সম্পর্কে নঞর্থক দৃষ্টিভঙ্গি।পতঞ্জলির যোগের লক্ষ্য বিবেক জ্ঞান অর্জন করা।যার মাধ্যমে কেবল আত্মা থেকে অনাত্মা পৃথক করা যায়।কিন্তু শ্রী অরবিন্দ বিশ্বাস করেন,যোগের লক্ষ্য জ্ঞানের মধ্যে পৃথকীকরণ নয়, বরং অনাত্মাকে আধ্যাতিকতায় উন্নীত করা।
৩. অধিকাংশ যৌগিক দার্শনিক বিশ্বাস করেন , যোগে যা প্রয়োজন হয় তাহল স্থূল দেহের ওপরে ওঠা।কিন্তু শ্রীঅরবিন্দ এ কথা কখনো বলেননি যে দেহকে সম্পূর্ণ বাতিল করতে হবে বা দমন করতে হবে।বরং তিনি বিশ্বাস করতেন যোগের লক্ষ্য হলো দেহকে অতিমানসিক আলোক দ্বারা উদ্দীপ্ত করা।
৪. অন্যান্য যোগীরা বলেন ঐশ্বরিক সত্তার সঙ্গে মানুষ যোগের মাধ্যমে যুক্ত হয় সমাধির অবস্থায়,তখন জাগ্রত চেতনা সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয়ে যায় এবং চারপাশের সাধারণ জগতের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায় বিপরীত দিকে শ্রীঅরবিন্দ বলেছেন, ঐশ্বরিক সত্তার সঙ্গে আধ্যাত্মিক সংযুক্তিকরণ হওয়া সম্ভব এই দেহে এবং আমাদের জাগ্রত চেতনার মাধ্যমেই।
৫. অন্যান্য যৌগিক দার্শনিকরা বলছেন, যোগের লক্ষ্য হলো একক ব্যক্তির মুক্তি। কিন্তু শ্রী অরবিন্দ বলেছেন এটাই যোগের একমাত্র লক্ষ্য নয়। বস্তুতঃ যোগের চরম লক্ষ্যের একটি দিক মাত্র একক ব্যক্তির মোক্ষ, যোগের চরম লক্ষ্য হলো সমগ্র মানবজাতির পুনরুদ্ধার করা এবং এই পৃথিবীতে দিব্য জীবনের উন্মেষ ঘটানো।
-----------