Friday, August 30, 2024

Educational implications of Vedanta Philosophy

 Educational implications of Vedanta Philosophy/ বেদান্ত দর্শনের শিক্ষাগত প্রভাব

বেদান্ত দর্শনের মূল নিহিত রয়েছে উপনিষদের মধ্যে, যা শিক্ষা সম্পর্কে গভীর অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে এবং স্বতন্ত্র ব্যক্তিসত্তা তথা সামাজিক মূল্যবোধ গঠনে সহায়তা করতে পারে। এখানে বেদান্ত থেকে প্রাপ্ত কিছু মূল শিক্ষাগত প্রভাব আলোচনা করা হল:

1. চারিত্রিক বিকাশের উপর জোর দেওয়া: বেদান্ত বৈষয়িক সম্পদ এবং ক্ষমতার চেয়ে ব্যক্তির চরিত্র গঠন এবং আধ্যাত্মিক মূল্যবোধের চর্চাকে অগ্রাধিকার দেয়। এই দর্শন শিক্ষাব্যবস্থাকে নৈতিক ও আধ্যাত্মিক বিকাশের দিকে মনোনিবেশ করতে উৎসাহিত করে, যার লক্ষ্য এমন ব্যক্তি তৈরি করা যারা আদর্শ জীবনযাপন করে এবং সমাজে ইতিবাচক অবদান রাখতে সক্ষম হয়।

2. সামগ্রিক শিক্ষা: বেদান্ত দর্শন অনুযায়ী শিক্ষার দৃষ্টিভঙ্গিটি হল সামগ্রিক, যা একটি শিশুর ব্যক্তিত্বের সর্বাঙ্গীণ বিকাশকে উৎসাহিত করে। এর মধ্যে শুধুমাত্র বৌদ্ধিক বিকাশই নয় বরং মানসিক, সামাজিক এবং আধ্যাত্মিক মাত্রাও অন্তর্ভুক্ত। এর লক্ষ্য হল জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নতি করতে পারে এমন সুব্যক্তিত্বসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের লালনপালন করা।

3. স্বয়ংসম্পূর্ণতার জন্য শিক্ষা: বেদান্ত দর্শন তাত্ত্বিক শিক্ষার পাশাপাশি ব্যবহারিক জ্ঞানের গুরুত্বকেও স্বীকার করে। তাই শিক্ষকের উচিত শিক্ষার্থীদেরকে স্বয়ংসম্পূর্ণতার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা, যেমন কৃষি এবং বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ, তথা বাস্তব-বিশ্বের চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত করা।

4. সর্বজনীন আবেদন: বেদান্তের নীতিগুলি একটি নির্দিষ্ট সংস্কৃতি বা ধর্মের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; তারা সর্বজনীন। এটি পরামর্শ দেয় যে বেদান্ত দ্বারা অনুপ্রাণিত শিক্ষামূলক অনুশীলনগুলি জ্ঞান এবং আধ্যাত্মিকতার বিশ্বব্যাপী উপলব্ধির প্রচার করে, যা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে অভিযোজিত হতে পারে।

5. অভ্যন্তরীণ দেবত্বের উপলব্ধি: বেদান্তের একটি মূল নীতি হল ব্যক্তির মধ্যে অভ্যন্তরীণ দেবত্বের উপলব্ধি। তাই শিক্ষার লক্ষ্য হওয়া উচিত শিক্ষার্থীকে তার অন্তর্নিহিত প্রকৃতি আবিষ্কার ও প্রকাশ করতে সাহায্য করা, তথা জীবনের উদ্দেশ্য এবং পরিপূর্ণতার বোধ জাগিয়ে তোলা।

6. জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতার একীকরণ: বেদান্ত অভিজ্ঞতামূলক শিক্ষার সাথে অধ্যয়নের মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞানের একীকরণকে উৎসাহিত করে। এই পদ্ধতিটি আধুনিক শিক্ষাগত অনুশীলনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ যা অভিজ্ঞতা, প্রতিফলন এবং ব্যক্তিগত বিকাশের মাধ্যমে শিখনের গুরুত্বের উপর জোর দেয়।

সংক্ষেপে বলা যায়, বেদান্ত দর্শনের শিক্ষাগত প্রভাব এমন একটি ব্যবস্থার পক্ষে সমর্থন করে যা চরিত্রকে লালন করে, সামগ্রিক বিকাশের প্রচার করে, ব্যবহারিক দক্ষতার উপর জোর দেয় এবং একজনের অভ্যন্তরীণ সম্ভাবনার উপলব্ধিকে উত্সাহিত করে। এই দর্শনটি সমসাময়িক শিক্ষাগত অনুশীলনগুলিকে উল্লেখযোগ্যভাবে সমৃদ্ধ করার মাধ্যমে তাদের আরও অর্থবহ এবং প্রভাবশালী করে তোলে।

 

What is Vedanta Philosophy?/বেদান্ত দর্শন কি?

বেদান্ত দর্শন হল ভারতীয় দর্শনের ছয়টি সনাতন দার্শনিক ধারার মধ্যে অন্যতম, যার মূলে রয়েছে উপনিষদের শিক্ষা, যা ভারতের প্রাচীন পবিত্র গ্রন্থ বেদের শেষ অংশ। বেদান্ত দর্শন সংস্কৃত শব্দ ‘বেদ’ (জ্ঞান) এবং ‘অন্ত’ (শেষ বা উপসংহার) থেকে উদ্ভূত যা বৈদিক জ্ঞানের চূড়ান্ত এবং সারাংশকে নির্দেশ করে। ‘বেদান্ত’ শব্দের আক্ষরিক অর্থ হল ‘বেদের সমাপ্তি’ এবং এটি বাস্তবতার প্রকৃতি, ব্যক্তি সত্তা এবং জীবনের চূড়ান্ত উদ্দেশ্যের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।

বেদান্তের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে পরম ব্রহ্মের অন্বেষণ। এই ব্রহ্ম হল একটি চূড়ান্ত বাস্তবতা, যাকে অসীম অস্তিত্ব, চেতনা এবং আনন্দ হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। বেদান্ত বিশ্বাস করে যে স্বতন্ত্র আত্মা মূলত ব্রহ্মেরই সাথে এক; এবং এই ঐক্য উপলব্ধি করাই মানব অস্তিত্বের সর্বোচ্চ লক্ষ্য হিসাবে বিবেচিত হয়। এই উপলব্ধি জন্ম ও মৃত্যুর চক্র (সংসার) থেকে মুক্তির (মোক্ষ) দিকে পরিচালিত করে।

যাজ্ঞবল্ক্যের প্রাচীন শিক্ষা এবং মান্ডুক্য উপনিষদের প্রাচীন শিক্ষক গৌড়পাদের ভাষ্য থেকে বেদান্তের উৎপত্তি হয়েছে বলে মনে করা হয়। এক কথায়, বেদান্ত দর্শন হল একটি গভীর এবং ব্যাপক ব্যবস্থা যা বাস্তবতার প্রকৃতি, স্বভাব এবং জীবনের চূড়ান্ত উদ্দেশ্যকে অন্বেষণ করে। এটি নৈতিক জীবনযাপন এবং আধ্যাত্মিক অনুশীলনের সাথে আধিভৌতিক অনুসন্ধানকে একত্রিত করে।

Tuesday, April 19, 2022

FROM TIC's DESK


Sri Tubai Sarkar
Teacher-in-Charge
Mekliganj College
Dear Students,
         We all know that the spread of Corona virus (COVID-19) infection all over the world has posed a serious problem for all of us. The Corona virus infection is spreading rapidly in India day-by-day. In such situation, India is now under the phase of Lockdown to prevent the Covid-19 pandemic.  As per order by the WBHED and CBPBU, our college has been closed since 16thMarch, 2020. But all classes of U.G. CBCS (Hons and Programme Courses) have started since 23.03.2020. Mekliganj College is situated in the India- Bangladesh Border area. Internet facilities are not functioning properly.  Our respective subject teachers (Bengali, English, Philosophy, Education, Political science, Sociology, Sanskrit, History, Physical Education and Geography) have been providing their study materials to the students through WhatsApp, Email etc.  A few departments have scheduled online classes through Zoom App and WhatsApp video calling. In this situation to make easier the Teaching and Learning and as the students can continue their education smoothly we are introducing this Web Blog, MEKLIGANJ COLLEGE E-LEARNING MODULE. Now we are uploading the study materials, notes, suggestions, voice and video lectures of all subjects in the college website. So, all students under CBCS system can easily download the study materials and watch the video lectures by using Computer or Smart Phones (Mobiles). Due to lockdown period it would be of great benefit for the students. So all the students are directed to follow the college website for their online classes, study materials and any others notice regarding the opening of college etc.
          In addition, all students are advised to follow the guidelines of the Central and State Governments for the prevention of the spread of COVID-19 pandemic.

14/04/2020                                                                                                     Sd/-
  Mekliganj                                                                                              Sri Tubai Sarkar
                                                                                                                     Teacher in Charge
                                                                                                                       Mekliganj College

Thursday, June 18, 2020

6th sem honours (Nature of Ultimate Reality) by Radhakrishnan

চরম সত্যতার স্বরূপ (Nature of Ultimate Reality)
   রাধাকৃষ্ণাণ অনুভব করেছিলেন দার্শনিক অনুসন্ধানের মূল কাজ হল জগতের যথার্থ ব্যাখ্যা খুঁজে বার করা।এবং ব্যাখ্যাকারী নিয়মগুলোকে পরিণামে সত্য হতে হবে,কারণ এগুলি সব কিছুর সত্যতাকে প্রমাণ করার ভিত্তি রূপে সক্রিয় থাকবে।সুতরাং রাধাকৃষ্ণাণ চিন্তা করেছিলেন এই 'চরম সত্যতা'কে এমন সমর্থ হতে হবে - যা জগৎ সম্পর্কে 'কিভাবে' এবং 'কেন' সম্পর্কিত যাবতীয় প্রশ্নের উত্তরদানে সক্ষম হবে।
      চরম সত্যতার স্বরূপ প্রকাশ করতে গিয়ে রাধাকৃষ্ণাণ এর ঝোঁক দেখা যায় ভীষণভাবে বেদান্তের দিকে।বেদান্ত দর্শনে বিশ্বাস করা হয় চরম সত্য হলো ব্রহ্ম। বস্তুতঃ বেদান্ত অনুসারে ব্রহ্মকে প্রমাণ করাও যায় অথবা প্রতিষ্ঠা করাও যায় না,তবু ব্রহ্মকে স্বীকার করা হয়।কারণ ব্রহ্ম স্বরূপ চৈতন্যের পূর্বানুমান ছাড়া কোন কিছুই চিন্তা করা যায় না।একইভাবে রাধাকৃষ্ণণ বলেছেন ---- চরম সত্য হলো ব্রহ্ম ---- এটাই সমস্ত সত্য এবং অস্তিত্বশীলতার যৌক্তিক ভিত্তি।
      এই প্রসঙ্গে স্বভাববাদীরা বলতে পারেন,এই জগৎকে ব্যাখ্যা করার জন্য অতিপ্রাকৃতিক অথবা আধ্যাত্মিক কোন তথ্যের প্রয়োজন নেই,কেননা জগতের সবকিছুরই প্রকৃতিগত ব্যাখ্যা দেওয়া সম্ভব।রাধাকৃষ্ণণ মনে করেন, প্রকৃতিগত সিদ্ধান্তের ভিত্তি হল সময়ের সত্যতার পূর্বানুমান এবং এ জন্যই এই জাতীয় ব্যাখ্যা সময়ের মধ্যে যে সমস্ত ঘটনা ঘটে তার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে,সময়কে অতিক্রম করে যাওয়া বিষয়ের উপলব্ধির প্রয়োজন অনুভব করে না। এই তত্ব জগৎকে দেখে একটা স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের মতো যা অন্ধ এবং বিশৃঙ্খলভাবে কাজ করে যায়।সময়ের জগৎকে এই তত্ত্ব একটা অচেতন শক্তিতে পরিণত করে,এবং জীবন, চৈতন্য, এবং মূলবোধক উপজাত বিষয়ে পরিণত করে। তাই জগতের প্রকৃতিগত কখনই চরম সত্যতার স্বরূপ নির্ণয় করতে পারেনা।এরা কেবল প্রকৃতির মধ্যে একটা নিয়ম-শৃঙ্খলাকে খোঁজে মাত্র-কিন্তু এটা ভুলে যায় প্রকৃতির নিয়ম-শৃঙ্খলা যান্ত্রিক নয় উদ্দেশ্য অভিমুখী।
    রাধাকৃষ্ণণ এ বিষয়ে সচেতন ছিল যে চরম সত্যকে এমন হতে হবে যার দ্বারা জগতের সবকিছুর মূল হিসেবে ব্যাখ্যা করা যায়।জড় জগৎ-এ এমন কোন তথ্য নেই যাকে বিবেচনা করা যেতে পারে এজন্য।জড় সবকিছুই ব্যাখ্যা যোগ্য অন্যকিছুর দ্বারা।সুতরাং চরম তত্ত্ব অবশ্যই জড়ের বাইরে থাকে,অবশ্যই দৈহিক শক্তি থেকে ভিন্ন কিছু হবে।এ কারণেই রাধাকৃষ্ণণ-এর কাছে চরম সত্য অবশ্যই 'আধ্যাত্মিক' তত্ত্ব।
     'আধ্যাত্মিক' শব্দটি নানাদিক থেকে ব্যাখ্যাযোগ্য।তবে এখানে আলোচনা শুরু হিসেবে এটুকু বলা যায় 'আধ্যাত্মিক' বিষয়টিকে নঞর্থক ভঙ্গিকে বোঝা যায়।তাহল - আধ্যাত্মিক হল এমন পৃথক বা উচ্চতর কিছু যা দৈহিকতা বা জড় থেকে উচ্চতর।রাধাকৃষ্ণণ কম-বেশি,অদ্বৈত বেদান্তিকের মতই উপলব্ধি করেছিলেন যে চরম সত্যের যথাযথ ব্যাখ্যা দেওয়া সম্ভব নয়।কিন্তু একটা চেষ্টা করা যেতে পারে আমাদের সীমিত ভাষার সক্ষমতা থেকে।সুতরাং জগৎ-পদ্ধতির বিশ্লেষণ থেকেই এটা প্রকাশিত হয় যে,আমাদের দৈহিক ব্যাখ্যা এক সময় শেষ হয়ে যায়।তার উর্ধে আমরা আর যেতে পারি না।এর থেকে বোঝা যায়  আমাদের অনুসন্ধান করা প্রয়োজন একটি ন-দৈহিক তত্ত্বের- যার দ্বারা জগৎ-পদ্ধতির ব্যাখ্যা করা সম্ভব।

Tuesday, June 9, 2020

6th sem honours (Nature of Radhakrishnan Philosophy)

Nature of Radhakrishnan Philosophy :

     রাধাকৃষ্ণণের দার্শনিক ভাবনার  মধ্যে এক দুর্লভ গুণ সংযোজিত হয়েছিল।একদিকে তিনি প্রাচ্য দর্শনের পরম্পরাকে জানার সুযোগ পেয়েছিলেন,অপরদিকে পাশ্চাত্য দর্শনের পরম্পরাকেও গভীর অনুশীলন করেছিলেন।ফলে, তার শিশুকাল থেকে ভারতীয় সংস্কৃতির মধ্যে বেড়ে ওঠার ফলে যেমন প্রাচ্যের দর্শন বোধ তীব্র ছিল,তেমনি পঠন-পাঠনের মধ্য দিয়ে পাশ্চাত্যের দার্শনিক বোধগুলিকেও তিনি আয়ত্ত করেছিলেন যথাযথভাবে। আর এই দুই এর সমন্বয়ে গড়ে উঠেছিল তার দার্শনিক বোধ।
     কিন্তু তার চিন্তার মূল নিহিত ছিল গভীরভাবে ভারতীয় পরম্পরার মধ্যেই।তাঁর এই মূল ভারতীয় ভাবনাটি বৈদান্তিক ভাবনার পরম্পরা।কিন্তু তিনি তার এই মূল ভাবনাটিকে উপস্থাপিত করেছিলেন পাশ্চাত্য দার্শনিক চিন্তার মডেলে।অর্থাৎ তিনি ভারতীয় প্রথাসিদ্ধ প্রাচীন ভাবনাকে অভিনব পাশ্চাত্য দর্শনের প্রকাশ করেছেন।
এ জন্যই অধ্যাপক সি.ই.এম. জোয়াড তাঁর 'Counter attacks from the East' গ্রন্থে রাধাকৃষ্ণনের অধিবিদ্যাগত দৃষ্টিকোণকে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য দর্শনের 'সংযোগকারী আধিকারিক' রূপে ব্যাখ্যা করেছেন। তাঁর মতে, রাধাকৃষ্ণন প্রাচ্যের প্রথানুগত জ্ঞানের সঙ্গে পাশ্চাত্যের নতুন জ্ঞান এবং শক্তির সেতুবন্ধন করেছেন।এর থেকে বলা যায় তিনি প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের ভাবনার সমন্বয় যে করেছিলেন সেটা পাশ্চাত্যের চিন্তাবিদদের দ্বারাও স্বীকৃত।
      তাঁর প্রাথমিক দার্শনিক অবস্থানকে 'অদ্বৈত বেদান্ত' এবং 'চরম ভাববাদ' এর দর্শনের এক ধরনের সমন্বয় বলা যায়।তিনি বৈদান্তিক সত্যতা থেকে নিয়েছেন অদ্বৈতবাদী চরিত্র এবং এর সঙ্গে যুক্ত করেছেন চরম ভাববাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক। বৈদান্তিকদের মত তিনি বিশ্বাস করতেন যে 'সত্যতা হলো এক',আবার চরম ভাববাদীদের মতো তিনি দেখিয়েছেন 'সবকিছুই হল সেই এক অবশ্যম্ভাবী দিক'।এর ফলে দর্শনের একজন বিশ্লেষক পাঠকের কাছে তাঁর দর্শনকে যে কোন আধুনিক অধিবিদ্যাগত মডেলের আকৃতি অনুধাবন করা সমস্যাবিশেষ হয়ে দাঁড়ায়।তাঁর দর্শনকে মোটামুটিভাবে ব্যাখ্যা করা যায় 'অদ্বৈতবাদী' ভাবনা হিসাবে।এই দর্শন 'অদ্বৈতবাদী' কারণ এখানে 'সত্যতা' গৃহীত হয় 'এক'রূপে এবং এই দর্শনকে বলা যায় ভাববাদ  একাধিক যুক্তিতে।তাঁর ভাববাদ অবশ্যই অধিবিদ্যাগত,কিন্তু অধিবিদ্যাগত ভাববাদ হতে পারে দুই প্রকারের।হয় 'ধারণা বা ভাববাদ অথবা 'আদর্শ-বাদ'।প্রথমটির অর্থ হল----- প্রকৃত সত্যতা হলো ধারণা - এটা হতে পারে মানসিক অথবা আধ্যাত্মিক। রাধাকৃষ্ণাণ নিজেও 'সত্যতা' বলতে বুঝিয়েছেন 'আধ্যাত্মিক সত্যতা'কে।সুতরাং এই দিক থেকে তিনি একজন ভাববাদী।অন্যদিক থেকে আদর্শ-বাদ আবার গুরুত্ব আরোপ করে কোন আদর্শ বা মূল্যকে চরম হিসেবে। রাধাকৃষ্ণন আদর্শবাদের এই অর্থকেও গুরুত্ব দিয়েছেন  এবং নিজের দার্শনিক দৃষ্টিকোণকে আদর্শবাদী দৃষ্টিকোণ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন এই অর্থে যে,তাঁর দর্শন বিশ্বাস করে আধ্যাত্মিক দর্শনের দিকেই সমস্ত জগৎ-পদ্ধতি ক্রমশ অগ্রসর হচ্ছে।
     'ধারণা বা ভাব' এবং ভাববাদ শব্দটি নানা অর্থ তিনি বিশ্লেষণ করেছেন এবং সিদ্ধান্তে এসেছেন 'ভাব' এর প্রকৃত অর্থ বিষয়ে।যখন আমরা কোনো বিষয় বা কাজের ক্ষেত্রে প্রশ্ন করি এর ধারণাটা কি? আমরা এটাই বোঝাতে চাই যে কি মূল নিয়ম এর মধ্যে আছে অথবা এর অর্থ কিংবা উদ্দেশ্য কি? অথবা এর লক্ষ্য বা মূল্য কি? এর থেকে বোঝা যায় একটি ধারনার প্রকৃতি নির্ণয় করতে গিয়ে আমরা চেষ্টা করি সে বিষয়টা কোন দিকে যাচ্ছে।এভাবে যদি আমরা উপলব্ধি করি যে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড কোন কিছুর দিকে গতিশীল----তাহলে এটার একটা অর্থ এবং মূল্য আছে,এটা অন্ধের মতো এগিয়ে চলার নয় অথবা অসভ্য সামনের দিকে গতি নয়, বরং ক্রমাগত আরও উচ্চতর পরিণতির দিকে অগ্রগতি - এই ভাবনাই আমাদের একজন ভাববাদী করে তোলে। এই অর্থে, একজন ভাববাদী হন একজন উদ্দেশ্যবাদীও, যে বিশ্বাস করে এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের একটা চরম অর্থ এবং উদ্দেশ্য আছে।
      সুতরাং তাঁর দর্শন বলে - এই জগতের চরম প্রকৃতি হল আধ্যাত্মিক, এবং যতদিন না আধ্যাত্মিক অনুভূতির কারণ হচ্ছে ততদিন মানব জীবনে এই বিশৃঙ্খল, অমঙ্গলজনক এক আতঙ্ক থাকবে।এভাবে তিনি সবকিছুকেই চরম আধ্যাত্মিকতার ওপর অসম্ভব গুরুত্ব আরোপ করার ফলে তাকে, অতিন্দিয়বাদী বলে অনেকে চিহ্নিত করেছেন। তবে বি.কে. লাল তাঁর, 'Contemporary Indian Philosophy' গ্ৰন্থে এ প্রসঙ্গে বলেছেন '..but his mysticism is mysticism only to the extent to which idealistic thought of the monisitic variety tends towards it'.
     
                                    -----------

Wednesday, June 3, 2020

6th sem honours (Biography of S.Radhakrishnan)


  মাদ্রাজ শহরের 40 মাইল উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত 'তিরুতানি' নামে ক্ষুদ্র শহরের এক নিম্ন মধ্যবিত্ত তেলেগু ব্রাহ্মণ পরিবারের 1888 খ্রিস্টাব্দের 5 ই সেপ্টেম্বর সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন জন্মগ্রহণ করেন।সংসারের অভাব-অনটন তাঁর শিক্ষার আগ্রহের বিশেষ ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে পারেনি।'তিরুতানি' শহরেই তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন হয়।নিজের সম্বন্ধে বলেছেন :
  আমার পিতামাতা সাধারণ ঐতিহ্যগতভাবেই ধর্ম বিশ্বাসী ছিলেন।বিভিন্ন খ্রিস্টান মিশনারী বিদ্যালয়ে আমি দ্বাদশ বছর শিক্ষা করেছিলাম।তার মধ্যে তিরুপতি শহরের লুথেরান মিশন হাইস্কুল, ভেলোর ভূরহীজ কলেজে ও মাদ্রাস ক্রিস্টান কলেজ পর্যন্ত।সুতরাং এক অদৃষ্ট জীবন্ত পরমার্থিক সত্তার আবহাওয়ার মধ্যেই যে আমি মানুষ হয়ে ছিলাম,সে কথা বলা চলে।এইভাবে মানুষ হওয়ার ফলে আমার দার্শনিক তত্ত্বজ্ঞান ও তার সমস্যা বিচারের ধারা,ঐতিহাসিক বা বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ এর পরিবর্তে ধর্মের দৃষ্টিকোণ থেকে গড়ে উঠেছিল এবং আমি দর্শনকে তর্ক শাস্ত্রের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখতে পারিনি।
    মাত্র সতেরসতের বয়সে তিনি যখন বিয়ে ক্লাসে ভর্তি হওয়ার কথা চিন্তা করেছিলেন,সে সময় তার এক সদ্য বি.এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ জ্ঞাতি ভ্রাতা নিজের দর্শনের বইগুলি তাঁকে উপহার দেন এবং তিনিও দর্শন শাস্ত্রকেই নিজের পাঠ্যসূচীর অন্তর্ভুক্ত করেন। মাদ্রাজ খ্রিস্টান কলেজের ছাত্র রূপে রাধাকৃষ্ণণ বি.এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।বি.এ পরীক্ষায় নীতিবিদ্যার উত্তর পত্রে তিনি মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেন এবং সেজন্য 'ডঃ স্যামুয়েল সাথিয়ানাথন' স্বর্ণপদক লাভ করেন।
   ছোটবেলা থেকেই খ্রিস্টান মিশনারি স্কুল কলেজে পড়ার ফলে খ্রিস্টান ধর্মশাস্ত্র, বাইবেল সম্বন্ধে তিনি প্রভূত জ্ঞানার্জন করেন। কিন্তু খ্রিস্টান মিশনারীরা হিন্দুধর্মের অহেতুক কঠোর সমালোচনা করতেন সে সময়ে----- তিনি গভীর বেদনাবোধ করতেন।তাঁর নিজের হিন্দুত্বের অহংকারের আঘাত অনুভব করতেন। ফলে গভীরভাবে হিন্দু ধর্মগ্রন্থ হিন্দু দর্শন পাঠে তিনি আত্মনিয়োগ করলেন।
    সেসময় হিন্দু ধর্মের বিরুদ্ধে খ্রিস্টান মিশনারীদের প্রধান অভিযোগ ছিল হিন্দু ধর্মে নৈতিকতার কোন স্থান নেই।এই অন্যায় অপবাদ এর প্রতিকার করার জন্য তিনি এক বিশেষ পন্থা গ্রহণ করলেন।সেসময় মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ে এম.এ.পরীক্ষায় অন্যান্য উত্তরপত্রের সঙ্গে একটি মৌলিক প্রবন্ধ রচনা করতে হতো। রাধাকৃষ্ণণ এই সুযোগে 'Ethics of Vedanta' নামে একটি গবেষণামূলক প্রবন্ধ লিখে বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ম অনুযায়ী জমা দিলেন।ঐ  উত্তরপত্রে পরীক্ষক বিশিষ্ট অধ্যাপক Prof.Hogg প্রবন্ধটি পড়ে এতই মুগ্ধ হয়েছিলেন যে সে বছরই প্রবন্ধটি পুস্তকাকারে মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশের ব্যবস্থা করেন।
   এম.এ. পরীক্ষা পাসের পর রাধাকৃষ্ণাণ মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সি কলেজের অধ্যাপক নিযুক্ত হন। এম এ পরীক্ষা পাশের পর সালে তিনি 1911 সালে এল.টি অর্থাৎ 'লাইসেনসিয়েট ইন টিচিং' উপাধি লাভ করেন। 1918 সালে তিনি মাইসোর ইউনিভার্সিটিতে 'প্রফেসর অফ ফিলোসফি' হিসেবে নিয়োগপত্র পান। 1921 সালে সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'জর্জ ভি' অধ্যাপক পদে যোগদান করেন। 1928 সালে জওহরলাল নেহেরুর সঙ্গে রাধাকৃষ্ণণের পরিচয় ঘটে।
    রাধাকৃষ্ণাণ বিদেশের বহু বিশ্ববিদ্যালয় পড়ানোর এবং বক্তৃতা দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন।1929 সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ম্যানচেষ্টার কলেজে অধ্যক্ষের পদ তাঁকে দেওয়া হয়। 1936 সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক এম.এ. ডিগ্রি তাঁকে দেওয়া হয়। 1936 থেকে 1938 তিনি অক্সফোর্ড-এ 'Spalding Professor' পদ গ্রহণ করেন এবং ভারতীয় দর্শন প্রসঙ্গে বক্তৃতা দেন।1949-1952 সোভিয়েত রাশিয়ায় ভারতের রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হন।1952-62 ভারতের উপ রাষ্ট্রপতি পদে নিযুক্ত হন এবং 1962-67 ভারতের রাষ্ট্রপতি পদে আসীন হন।
   1975 সালের 16 এপ্রিল অল্প রোগভোগের পর রাধাকৃষ্ণাণ পরলোকগমন করেন।
                                      ---------

Monday, June 1, 2020

2nd SEM,Hist. MCQ Practice sheet

 

2nd Sem History Honours C-3

1. After the Mauryas that most important kingdom in the Deccan and Central India was that of the :

A). Vakatakas

B). Cholas

C). Satavahanas

D). Pallavas

2). Who was the founder of Sunga dynasty?

A). Ajatashatru

B). Bimbisara

C). Agnimitra

D). Pushyamitra

3). Pushyamitra Sunga :

A). defended the Magadhan empire against the Bactrian Greeks

B). is said to have performed Asvamedha sacrifice

C). was persecutor of Buddhism according to the Divyavadana

D). did all the above

4). The last ruler of Sunga dynasty was:

A). Devabhuti

B). Naga

C). Vasudeva

D). Sujyeshtha

5). The first to establish trade contacts with the Roman empire were :

A). Indo Greeks

B). Kushanas

C). Tamils

D). Sakas

6). Sakas were finally overthrown by :

A). Kanishka

B). Chandragupta Vikramaditya

C). Devapala

D). Gautamiputra Satakarni

7. The Prakrit text 'Gatha Saptasai' is attributed to the Satvahana king :

A). Gautamiputra Satkarni

B). Hala

C). Yajna Satkarni

D). Vasishtputra Pulumayi

8. Satavahanas belonged to

A). Andhra Region                                                                 B). Maharashtra

C). Konkan region                                                                  D). Kalingas

 9.Kanishka ruled over Afghanistan and part of north India from two capitals, One was Purushapura. Which was the other?

A). Ujjain

B). Pataliputra

C). Mathura

D). Taxila

10. Kanishka was a great patron of art and literature which of the following personalities adorned his court?

A). Aswaghosa, Parsva, Vasumitra and Charaka

B). Aswaghosa, Nagarjuna, Nagasena and Vasumitra

C). Aswaghosa, Parsva, Hemacandra and Nagarjuna

D). Aswaghosa, Vasumitra, Asanga and Hemachandra

11.Which one of the following kings controlled the famous silk-route of Central Asia?

A). Harsha

B). Chandragupta II

C). Ashoka

D). Kanishka

 12.Saka era was founded by :

A). Ashoka

B). Harsha

C). Kanishka

D). Vikramaditya

 13. Saka era started from

A). 78 B.C.

B). 78 A.D.

C). 300 B.C.

D). 1224 A.D.

14.Vikrama era started from :

A). 57 B.C.

B). 78 A.D.

C). 57 A.D.

D). 78 B.C.

15.Which of the following is not connected with Kushans?

A). Mathura art

B). Gandhara art

C). Ajanta paintings

D). Fourth Buddhist Council

16.Charaka was the court physician of :

A). Kanishka

B). Chandragupta Maurya

C). Ashoka

D). Haarshavardhana

 

17. Who were the first to issue gold coins?

A). Indo Greeks

B). Shakas

C). Parthians

D). Kushans

18.The art style which combines Indian and Greek feature is called

  A)Sikhar                                                                                B)Vesar

  C)Gandhar                                                                              D)Nagar

)

19. Who was called by Vindhya Adhipati?

  A) Simuka                                                                             B) Gautamiputra Satakarni

  C )Ashoka                                                                               D) Chandragupta Maurya


20. When did the Mathura School of Art flourish?

  A)Sunga period                                                                     B)Satavahan period

  C)Suba period                                                                       D)Kushana period

21. Who among the following presided over the Buddhist Council held during the reign of Kanishka at Kashmir?

   A)Parsva                                                                              B)Sakas

   C)Sudraka                                                                            D)Vasumitra


22.What was the royal emblem of Cholas-

   A)Elephant                                                                           B)Horse

   C)Tiger                                                                                 D) Lion


23.Who was the chief deity of Sangam age?

   A)Siva                                                                                  B) Indra

   C) Murugan                                                                         D) Vishnu


24. What is the language of Sangam literature?

   A) Tamil                                                                               B) Prakrit

   C) Pali                                                                                  D) Sanskrit


25. Which of the following is known as the ‘Bible of Tamil Land”?

   A) Silappadigaram                                                               B) Murugarruppadai

  C) Lirukkural                                                                        D) Aingurunureu





##Highlighted Alphabet are Answers.

 

 

View Answer (-)